ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার এর মধ্যে পার্থক্য

ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার এর মধ্যে পার্থক্য


আপনি একা নন আমাদের এই প্রশ্নগুলি অনেকে জিজ্ঞাসা করেছে তাই আমরা ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার সম্পর্কিত সহজ উত্তর আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার এ মধ্যে সাদৃশ্যতাঃ দুটোই ত্বক পরিষ্কার এর কাজ করে। দুটোর মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই বলে চলে। দুটোই সাহায্য করে আমাদের ত্বক থেকে ময়লা, তেল এবং দূষণ, মেকাপ,জীবাণু দূর করতে। ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার দুটোই ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখে।নিয়মিত পরিছন্নতা ফলে পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে। ডিহাইড্রেটেড ত্বক দেখায় এবং রুক্ষ, কুঁচকে যাওয়া এবং বয়স্ক মনে হয়। ক্লিনজিং ত্বকের পিএইচ লেভেল পরিচালনা করতে সাহায্য করে; পর্যাপ্ত জল এবং পণ্য ধারণ সক্ষম করা।পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য প্রচুর পরিমানে পান।

হাইড্রেশনঃ হাইড্রেশন এর দিক দিয়ে ক্লিনজার এগিয়ে আছে। কারন ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার যখন আপনি ব্যবহার করবেন তখন নিজে বুঝতে পারবেন ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর মুখ শুকনো লাগে। ক্লিনজার ব্যবহার করার পর শুকনো লাগে না মুখ হাইড্রেশন লাগে।

ফেসওয়াশ

ক্লিনজার

ফেসওয়াশ এর কাজঃ ফেসওয়াশ ত্বকের গভীর স্তর থেকে ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করে এবং পোর্স পরিষ্কার করে

ক্লিনজার এর কাজঃ পরিষ্কার ত্বকের পৃষ্ঠ থেকে ময়লা, মেকআপের অবশিষ্টাংশ এবং অতিরিক্ত তেল সরিয়ে দেয়

উপযুক্ত ত্বকের জন্য ফেসওয়াশঃ ফেস ওয়াশ তৈলাক্ত এবং সংমিশ্রণ ত্বকের জন্য প্রযোজ্য

উপযুক্ত ত্বকের জন্য ক্লিনজারঃ ক্লিনজারটি শুষ্ক এবং সংবেদনশীল ত্বকের ধরণের জন্য প্রযোজ্য

কোমলতার দিক দিয়ে ফেসওয়াশঃ ফেসওয়াশ সাবানের চেয়ে মৃদু হয়ে থাকে তাই প্রতিদিনের প্রয়োজনে সাবানের চেয়ে ফেসওয়াশ ব্যবহার করে বেশি

কোমলতার দিক দিয়ে ক্লিনজারঃ ক্লিনজার ফেসওয়াশের চেয়ে বেশি মৃদু হয়ে থাকে। যাদের সংবেদনশীল ত্বক তাদের জন্য বেশি প্রয়োজন

ফেসওয়াশ এর ময়শ্চারাইজেশনঃ এটি অনেক কম মাত্রায় ত্বকে ময়েশ্চারাইজেশন করে থাকে। এটি তেল ময়লা দূর করে থাকলেও এটি ত্বকে খুবই কম মাত্রায়  মশ্চারাইজিং করে থাকে

ক্লিনজার এর ময়শ্চারাইজেশনঃ এটি তেল ময়লা দূর করনের সাথে সাথে ত্বকে কোমল মসৃণ করে থাকে। ফেসওয়াশের থেকে অধিক মাত্রায় ময়শ্চারাইজেশনকরে থাকে

ফেসওয়াশ এর ব্যবহারের সময়ঃ এটি সকালে ব্যবহার করা ভাল এবং ধুয়ে ফেলতে হবেপ্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে

ক্লিনজার এর ব্যবহারের সময়ঃ এটি রাতে ব্যবহার করা ভাল এবং ধুয়ে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে বা নাও হতে পারে

এই তথ্যগুলি আপনাকে আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে কোনটি বা টো ব্যবহার করা উচিত তা বুঝতে সাহায্য করে।

১. গোসলের সাবান মুখে ব্যবহার কারা যাবে নাহঃ গোসলের সাবানের পিএইচ প্রায় 10, যেখানে স্কিন পিএইচ এর রেঞ্জ 4.7 এবং 5.75 সাবান বার স্কিনগুলির সর্বোত্তম পিএইচ মান ব্যাহত করতে পারে। সাবান ব্যবহারে মুখ শুকনো হয়ে যায়।

২. ত্বকে পরিষ্কারার জন্য বেশি জোরে জোরে ঘষামাজা যাবে নাহঃ অতিরিক্ত ঘষা আপনার ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল বন্ধ করে দিতে পারে এবং ত্বকের  পিএইচ এর সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

৩. অতিরিক্ত পরিষ্কার করবেন নাঃ আপনার ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে আপনি আপনার মুখকে অতিরিক্ত পরিস্কার করতে প্রলুব্ধ হতে পারেন। ওভার ক্লিনজিং আপনার ত্বকের উপরের স্তরটি খুলে ফেলতে পারে।  এর কারনে আপনার ত্বক  ক্ষতি হতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post